• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    চিকিৎসার জন্য আমানকে বিদেশে যেতে অনুমতি

    বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের মামলায় তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

    সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

    এ মামলায় গত ২০ মার্চ আপিল বিভাগ আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেন। তবে বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

    আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি শুরু করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    পরে ২৪ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান। তারপর ২৮ মার্চ তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।

    এর আগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ-১ এর বিচারক আবুল কাশেম।

    এরপর তিনি আপিল বিভাগে ছুটির আবেদন করেন। একই সঙ্গে তিনি জামিনের আবেদন করেন। তবে আপিল বিভাগ তাকে ৪ ডিসেম্বর জামিন না দিয়ে আপিলের ছুটি মঞ্জুর করতে বলে। সে অনুযায়ী শুনানি শেষে ১৪ জানুয়ারি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করা হয়।

    এ অবস্থায় তিনি আবারও জামিনের আবেদন করেন।

    ২১শে জুন, ২০০৭-এ বিশেষ বিচারক আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের পুনঃশুনানি শেষে গত বছরের ৩০ মে তাদের সাজা বহাল রাখেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

    রায়ের দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। গত বছরের ৭ আগস্ট এ রায় প্রকাশিত হয়।

    এরপর বিচারকের নির্দেশে ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। পরদিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে তাকে জামিন দেওয়া হয়।

    সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

    এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।

    পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে রিহিয়ারিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন আমান। পরে সেই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।