• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ‘দেশে এত মন্ত্রণালয়ের দরকার নেই’

    দেশে এত মন্ত্রণালয় থাকার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। সোমবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নওয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত বাজেট আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

    আহসান এইচ মনসুর খরচ সাশ্রয়ের বিষয়ে বলেন, আমাদের কি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় দরকার? আমি তা মনে করি না. সরকার আরেকটু চিন্তা করলে দেশে এতগুলো মন্ত্রণালয় থাকার দরকার নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১টি মন্ত্রণালয় রয়েছে, যেখানে আমাদের এখানে ৫০ থেকে ৬০টি রয়েছে।’

    তিনি বলেন, আমরা নিজেরাই আর্থিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা তৈরি করেছি, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে নয়-ছয় সুদের হার (ঋণের সুদ ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদ ৬ শতাংশ) ব্যারেজ নীতি দিয়ে সমস্যাটি একদিনে তৈরি হয়নি, তাই একদিনে সমাধান হবে না।

    আহসান এইচ মনসুর বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমানো মুদ্রানীতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়। মূল্যস্ফীতি কমানো বাজেটের বিষয় নয়, যদিও বাজেট সেখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। গত বছরের তুলনায় এবারের বাজেট সংকুচিত হয়েছে; সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এখন বাস্তবায়িত হলে মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে। পরে বাজার ভিত্তিক সুদের হারের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপও কমবে।

    সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত এমপি, নবাব সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের নেতা একে আজাদকে উদ্দেশ্য করে অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এটা আজাদ ভাইদের জন্য ভালো খবর নয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা মেনে নিতে হবে।

    আহসান এইচ. মনসুর বলেন, ‘মুদ্রার বিনিময় হার এখন যেখানে আছে, এবং সম্ভবত আগামী কয়েক মাস সেখানেই থাকবে। যদি তা থাকে এবং সুদের হার যদি বাজারের উপর ভিত্তি করে থাকে, অর্থাৎ যদি কোনো হস্তক্ষেপ না করা হয়, তাহলে অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতির পতনের চিত্র আমাদের দেশেও দেখা যাবে।

    তিনি বলেন, “তবুও জিনিসপত্রের দাম কমবে না, কিন্তু দাম বাড়ার হার কমবে। সরকার যদি বুদ্ধিমানের কাজ করে, তাহলে আমরা আগামী জানুয়ারির মধ্যে তা আশা করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ১০ থেকে ৫ থেকে ৬ কম করা। বা ৬.৫ শতাংশ এটি খুব কঠিন নয়, এটি ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে সম্ভব।

    আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আরেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।