• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    রাজপথে সংঘর্ষ, বাসে আগুন।দুই এলাকার ফুটেজ মিলে গেলেও অভিযুক্তদের মুখ অস্পষ্ট

    বিএনপির অবস্থান ধর্মঘটকে ঘিরে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে দুই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দারা। তারা জানান, সন্দেহভাজনদের স্পষ্ট চেহারা এখনও পাওয়া যায়নি। অস্পষ্ট চেহারার কারণে তদন্তকারীরা সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করতে পারেনি।

    তবে পুলিশ বলছে, তারা ঘটনার স্পষ্ট ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। পুলিশ আরো জানায়, প্রতিদিন কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকায় তারা নির্বিঘ্নে তদন্ত করতে পারছে না। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)ও ছায়া তদন্ত শুরু করেছে।

    প্রবেশপথে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে শনিবার মাতুয়াইল, ধোলাইখাল, গাবতলী, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মাতুয়াইল ও উত্তরায় সাতটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মহাসড়কে আকস্মিক সংঘর্ষের পরিস্থিতির কারণে জনমনে দেখা দিয়েছে নতুন আতঙ্ক। এখন পর্যন্ত মাতুয়াইল ও উত্তরা এলাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরকে দায়ী করছে।

    ডিবির উত্তরা বিভাগের ডিসি আকরামুল হক বলেন, যারা বাসে আগুন দিয়েছে তাদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কিন্তু জড়িতদের আমরা এখনো শনাক্ত করতে পারিনি।

    এদিকে সোমবার মাতুইলে সরেজমিনে জানা গেছে, এখনো অনেকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই গত শনিবারের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতেও রাজি নন। আসমা আলী ফিলিং স্টেশনের কাছে স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস ও সন্তু ফিলিং স্টেশনের সামনে তিশা কোচের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকালও বাসের ভাঙা কাচ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল।

    শনিবার মাতুয়াইল এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই এলাকার সন্তু ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার জানান, পুলিশ কাছের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

    ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস বলেন, বাস দুটিতে আগুন দেওয়া ফিলিং স্টেশন ও আশপাশের এলাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ফুটেজে দুর্বৃত্তদের চেহারা ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে না। এ কারণে কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।

    ঢাকার প্রবেশমুখে সংঘর্ষ, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানীর ৯টি থানায় ১৩টি মামলা হয়েছে। গত রোববার পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করে। এতে ৬২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, একটি মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও আরেকটি মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া উইং সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামিদের অধিকাংশই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী। প্রতিটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ১৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলায় ৩১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।