• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    হজ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে ‘নসুক’

    বাংলাদেশে হজ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। ব্যবস্থাপনা সহজ ও দ্রুত করতে সৌদি আরব ঢাকায় ‘নসুক’ নামের একটি অ্যাপ চালু করবে। অ্যাপটি ইতিমধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এজেন্সি কেন্দ্রিক হজ ব্যবস্থাপনা থেকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনার যুগে প্রবেশ করবে। এজেন্সি-নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমবে। বাংলাদেশী হজযাত্রী, ওমরাহযাত্রী এবং অন্যান্য পর্যটকদের জন্য নাসুক প্লাটফর্ম আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় চালু হবে। সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অ্যাপটির উদ্বোধন করবেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ। এরপর আমন্ত্রিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে গোল টেবিল আলোচনা হবে।

    অ্যাপটি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে, দুই দেশের নীতিনির্ধারকরা আশা করছেন যে এটি হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গমনকারীদের জন্য যাতায়াত সহজ করবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মতিউল ইসলাম বলেন, সৌদি আরব তাদের ভিশন ২০৩০ নিয়ে কাজ করছে। এ কাজের অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ অ্যাপভিত্তিক করার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এই কার্যক্রম চালু করা হবে।

    সৌদি আরবের পর্যটন কর্তৃপক্ষের মতে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ তাদের পঞ্চম বৃহত্তম বাজার। তাই বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে দেশটি। এই প্রথম সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী বাংলাদেশে আসছেন বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ হজ করতে যায়। এ ছাড়া প্রতি বছর কয়েক লাখ মুসল্লি ওমরাহ করতে যান। প্রায় সব ওমরা তীর্থযাত্রী কোনো না কোনো বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে যান। প্রায় ১৫,০০০ তীর্থযাত্রী সরকারি ব্যবস্থাপনায় যান; বাকিরা হজ এজেন্সির মাধ্যমে যায়। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তৌফিক আল-রাবিয়ার নেতৃত্বে সৌদি প্রতিনিধিদল আজ ও আগামীকাল ঢাকা সফর করবে। আজ সকালে সচিবালয়ে ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হতে পারে।

    নাসুক অ্যাপ ভিসা ও পারমিট পেতে সহায়ক হবে বলে জানা গেছে। সৌদিতে বাংলাদেশের হজ কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম বলেন, নাসুক অ্যাপে হজ ও ওমরাহ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহার করে যে কেউ কোনো সংস্থার সহায়তা ছাড়াই হজের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। হজযাত্রী কী ধরনের প্যাকেজে যেতে চান, তিনি মক্কা ও মদিনায় কোন হোটেলে থাকবেন, বিমানবন্দর থেকে হোটেলে কীভাবে যাবেন, সৌদি আরবের বাইরে সৌদি আরবের অন্য কোনো শহরে যেতে চাইলে তার কী প্রয়োজন হবে। হজ কার্যক্রমসহ ভিসা ব্যবস্থাপনা- জানতে কাজে লাগবে এসব অ্যাপস।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, অ্যাপটি চালু হলে হজ কার্যক্রমে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে। এজেন্সি-নির্ভরতা হঠাৎ কমে যাবে না। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হজ এজেন্সিগুলোকেও প্রযুক্তিনির্ভর সেবায় অভ্যস্ত হতে হবে।