• বাংলা
  • English
  • আন্তর্জাতিক

    ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২, আহত ২০০ জনেরও বেশি

    রাজধানী তেল আবিব সহ ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ইরান ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রাতভর এই হামলায় ইসরায়েলি ভূখণ্ড কাঁপিয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    শনিবার (১৪ জুন) ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বিদ্যুৎ গতিতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে একের পর এক আঘাত হানে। এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর ইসরায়েলিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    রাতে চালানো হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় হাইফায়। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হাইফার পূর্বে তামরা শহরের একটি জ্বালানি স্টেশনে আগুন লেগে যায়।

    মূলত, সেই রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন জ্বালানি স্টেশন, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইরান দাবি করেছে যে হাইফায় একটি জ্বালানি স্টেশন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেশিরভাগ জ্বালানি সংরক্ষণাগার ধ্বংস হয়েছে। পাশের আবাসিক এলাকায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে তিন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

    ইরান আগে ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও, ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ধারাবাহিক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।

    এর আগে, ইসরায়েল দক্ষিণ ইরানের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রে আক্রমণ করেছিল। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বন্দর আব্বাস লক্ষ্য করা হয়েছিল। শাহরান তেল সংরক্ষণ কেন্দ্রটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এই সংরক্ষণ কেন্দ্রটি রাজধানী তেহরানে জ্বালানি সরবরাহ করে। এছাড়াও, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও আক্রমণ করা হয়েছিল।

    এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে আমরা তেহরানে পৌঁছানোর একটি উপায় খুঁজে পেয়েছি। আমরা আয়াতুল্লাহ প্রশাসনের প্রতিটি ভবন এবং কাঠামো ধ্বংস করব। ইরানের পরিকল্পনা ২০,০০০ ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।