জামায়াত নেতা এটিএম আজহার খালাস
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।
রায় ঘোষণার পর, জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, “এখন থেকে এটিএম আজহার অপরাধমুক্ত। এই রায়ের মাধ্যমে সত্যের জয় হয়েছে এবং মিথ্যার পরাজয় হয়েছে। জামায়াত ও বিএনপির ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কমপক্ষে ৫ জন কারাগারে মারা গেছেন। এটি বিশ্বের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব নির্যাতনের ঘটনা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি সংক্ষিপ্ত আদেশ চেয়েছি। আদালত আজ অথবা আগামীকাল এই সংক্ষিপ্ত আদেশটি প্রক্রিয়া করবে এবং এটিএম আজহারকে জেল থেকে বের করে আনার জন্য সকল আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
রায়ের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে-ই-আমির ড. দাইয়্যাদ আবদুল্লাহ তাহের বলেন, “কুরআন বলে যে সত্যের জয় হবে এবং মিথ্যার অনিবার্যভাবে পতন হবে।” আজ এই রায়ের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আজহারুল ইসলামকে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারী আজহারুল ইসলাম সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। শুনানি শেষে, আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর, আজহারুল ইসলাম পুনর্বিবেচনার আবেদন করে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ পর্যালোচনার শুনানি শেষে আবার আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত নেয়। এটিই মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলা যা পর্যালোচনা পর্যায়ে পৌঁছানোর পর আবার শুনানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।