নিবন্ধনের জন্য জামায়াতের আপিলের শুনানি ১৩ মে
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগ মঙ্গলবার (১৩ মে) দিন নির্ধারণ করেছে। এই দিনে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জামায়াতের নিবন্ধন মামলার দ্রুত শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের আবেদনের শুনানি ১২ মার্চ শুরু হয়। এরপর আর কোনও শুনানি হয়নি।
গত বছরের ২২ অক্টোবর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের আবেদনটি পুনরুজ্জীবিত করে, যা খারিজ করে দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ, নিবন্ধন এবং দলীয় প্রতীক নিয়ে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ উন্মুক্ত হয়। সেই সময় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিকী এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের খারিজ করা আপিল, যা ১ সেপ্টেম্বর খারিজ করা হয়েছিল, তা পুনরুজ্জীবিত করার আপিলের শুনানি ২২ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত এই তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের খারিজ করা আপিল পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আবেদন করেছিল।
হাইকোর্ট একটি রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ১ আগস্ট, ২০১৩ তারিখে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল এবং অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে, জামায়াতে ইসলামী হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। তবে, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে জামায়াতের প্রধান আইনজীবী উপস্থিত না থাকায়, ২০২৩ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘অনায়াসে খারিজ’ হিসেবে আপিল খারিজের নির্দেশ দেয়। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়।
এদিকে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার সরকার ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাস দমন আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামায়াত, ছাত্র শিবির এবং তাদের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে, ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।