• বাংলা
  • English
  • বাংলাদেশ

    বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা নিধনের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

    ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াতান এলাকায় শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা নিধনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানা এলাকা থেকে প্রধান আসামি মোবারক ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুয়াতান গ্রামের মোবারেক আলী ফকিরের মালিকানাধীন জমির পাশে সরকারি রাস্তার পাশে থাকা তালগাছটি দীর্ঘদিন ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। এই গাছে অসংখ্য বাবুই পাখির বাসা, ডিম এবং ছানা ছিল। মোবারেক আলী ফকির গাছটি মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। তালগাছটি কেটে ফেলার ফলে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছানা এবং ডিম ধ্বংস হয়ে যায়। এই বন্যপ্রাণী হত্যায় স্থানীয়রা হতবাক হয়ে পড়েন।

    স্থানীয়রা বলছেন যে এই তালগাছটি কেবল একটি গাছ ছিল না, এটি ছিল প্রাণী বৈচিত্র্যের কেন্দ্র। যারা এটি করেছে তারা প্রকৃতির বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। সচেতন মানুষ অবিলম্বে পরিবেশ আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে বাকি অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, এই ঘটনা জানার পর আমরা একজন বন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হবে।বাবুই পাখি বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য একটি উপকারী এবং সুরক্ষিত প্রজাতি। তাদের বাসার নান্দনিকতা এবং সামাজিক আচরণ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। এই ধরনের বর্বরতা কেবল জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করেনি, মানবিক মূল্যবোধকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।