• বাংলা
  • English
  • বাণিজ্য

    বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, শীঘ্রই কমবে!

    বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন যে তেলের দাম ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আগের স্তরে ফিরে আসবে, প্রতি ব্যারেল ৬০ থেকে ৬৫ ডলার। এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে বিকল্প খুঁজছেন, তাই এই বছর ডলার সূচক ১০ শতাংশ কমেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ১৫ সেন্ট বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৬৭.৮৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহে এটি ১১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি।

    অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ২০ সেন্ট বেড়ে ৬৫.১২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহে দাম ১১.৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বাড়ছে মূলত ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার বিষয়ে সতর্ক অবস্থান এবং চাহিদা বৃদ্ধির কারণে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন যে এই তেলের দাম ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আগের স্তরে ফিরে আসবে, প্রতি ব্যারেল ৬০ থেকে ৬৫ ডলার।

    নোমুরা সিকিউরিটিজের অর্থনীতিবিদ ইউকি তাকাশিমা বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে মজুদ কমেছে, যা চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। তাই অনেকেই আবার তেল কিনছেন। তবে, বাজার এখনও পুরোপুরি শান্ত নয়। বিনিয়োগকারীরা এখনও ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির বাস্তবতার জন্য অপেক্ষা করছেন। এছাড়াও, সবাই OPEC+ এর উৎপাদন পরিকল্পনার দিকে নজর রাখছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, WTI তেলের দাম $৬০ থেকে $৬৫ এর মধ্যে থাকবে, যা যুদ্ধ-পূর্ব স্তরের কাছাকাছি।”

    এদিকে, জাপানের বাইরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান সূচক MSCI, প্রাথমিক লেনদেনে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। এবং টোকিওর নিক্কেই সূচক ০.৯ শতাংশ বেড়ে চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি ঘিরে অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বৃহস্পতিবার মার্কিন ডলারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসের পর থেকে ডলার সূচক সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে এবং বিকল্প খুঁজছে। ফলস্বরূপ, এই বছর সূচক ১০ শতাংশ কমেছে।