• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    মঈন খান আশা করেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এবং মর্যাদার সাথে বিদায় নেবে।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান আশা প্রকাশ করেছেন যে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।

    বুধবার (২৮ মে) রাজধানী পল্টনে বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন আয়োজিত যুব সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

    মঈন খান বলেন, “আমরা সরকারকে সমর্থন করছি, আমরা করব। আমি আশা করি তারা সফল হবে, তারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এবং মর্যাদার সাথে বিদায় নেবে।”

    সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

    তিনি বলেন, “বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে একটি রোডম্যাপ চেয়েছে। যদি গণতন্ত্র চাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে বিএনপি বারবার তা করবে। বিএনপি আশা করে যে বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে, এই সরকার ইশরাকের শপথ নেবে এবং আগাম নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।”

    এ সময় শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, বিএনপি এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং সংবিধান চায় যাতে স্বৈরাচার আবার না ওঠে। আর দেশের একমাত্র রাজনৈতিক শত্রু শেখ হাসিনা।

    এর আগে সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো এলাকা। যদিও দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল, সমাবেশস্থল তার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এতে যুব সমাবেশটি এক বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।

    সমাগমস্থলে দেখা গেছে, রাজধানীর মৌচাক থেকে শান্তিনগর, কাকরাইল থেকে নয়াপল্টন, মৎস্য ভবন থেকে কাকরাইল মসজিদ থেকে নয়াপল্টন, পল্টন থেকে স্কাউট ভবন থেকে নয়াপল্টন, শাহজাহানপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ফকিরাপুল মোড় থেকে নয়াপল্টন পর্যন্ত রাস্তাটি বিএনপির নেতাকর্মীদের পদযাত্রায় জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।

    ঢাকা বিভাগের জেলাগুলি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। আজকের সমাবেশ মূলত ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর এবং ময়মনসিংহে সংগঠিত।

    সমাবেশে আগত তরুণ নেতা-কর্মীরা বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ফিরিয়ে আনতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা নির্বাচনী রোডম্যাপ এড়িয়ে যাওয়ার অবসানেরও আহ্বান জানান।