• বাংলা
  • English
  • বাংলাদেশ

    মানিকগঞ্জে দাড়ি দিয়ে মারধরের ভিডিও ভাইরাল

    মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাড়ি দিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন এক কম্পিউটার ব্যবসায়ী। সিসিটিভি ফুটেজে ধারণকৃত ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। হামলার শিকার ব্যবসায়ী আলী আজম মানিক এ ব্যাপারে ঘিওর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আলী আজম মানিক ‘মানিক কম্পিউটার’ নামে একটি কম্পিউটারের দোকান চালান। অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়া প্রায়ই বিভিন্ন কাজের অজুহাতে দোকানে যেতেন এবং কাজ শেষ করার পরও বিল না দিয়ে চলে যেতেন। নাসিম টাকা চাইলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন এবং ব্যবসা করতে না দেওয়ার হুমকি দেন।

    অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় নাসিম ভূঁইয়া দোকানে এসে জরুরি কাজ সেরে ফেলার দাবি করেন। সেই সময় মানিক অন্য একজন গ্রাহকের কাজে ব্যস্ত থাকায় তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু রাত ৯টার দিকে নাসিম ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানদার মানিকের দাড়ি ধরে টেনে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। মানিক তাকে গালিগালাজ বন্ধ করতে বললে, নাসিম হঠাৎ তাকে লাথি, ঘুষি এবং থাপ্পড় মারে।

    এই আক্রমণে মানিক শরীরের বিভিন্ন অংশে আহত হন এবং দাড়িতে ব্যথা অনুভব করেন। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এবং দোকানের গ্রাহকরা এসে মানিককে উদ্ধার করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

    আলী আজম মানিক আরও অভিযোগ করেন যে আক্রমণের সময় আসামিরা তার দোকানের একটি কম্পিউটার মনিটর ভেঙে ফেলে, যার আনুমানিক মূল্য ১৫,০০০ টাকা।

    ভুক্তভোগী মানিক বলেন, “সে আমাকে বিভিন্ন সময় কাজ করাত, কিন্তু কোনও পারিশ্রমিক দিত না। টাকা চাওয়ার পর সে রেগে বাইরে গিয়ে আরও তিনজনের সাথে পরামর্শ করে, তারপর দোকানে ঢুকে তার দাড়ি টেনে ধরে মারধর করে। আমি সরকারের কাছ থেকে এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।”

    পাশের একটি কম্পিউটার দোকানের মালিক লিংকন রাজীব এই ঘটনায় বলেন, এই কাজটি অত্যন্ত জঘন্য। তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।

    স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, ভিডিওটি দেখে আমরা খুবই আহত হয়েছি। এটি একটি সংবেদনশীল এলাকাকে আঘাত করেছে। আমি তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

    ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আজ আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে বিচারের আওতায় আনা হবে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, যেখানে দেখা গেছে যে সে দাড়ি ধরে অত্যন্ত জঘন্য কাজ করেছে।