• বাংলা
  • English
  • বাংলাদেশ

    রাজনৈতিক দলের বিচারের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত: প্রধান প্রসিকিউটর

    প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন যে, কোনও রাজনৈতিক দলের বিচার হবে কিনা সে বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    সোমবার (১২ মে) মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    সেই সময় প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে, যদি কোনও রাজনৈতিক দল বা সংস্থা কোনও অপরাধে জড়িত থাকে, তবে তাদের বিচারের আওতায় আনা যাবে এবং বিচারে কী কী শাস্তি দেওয়া যেতে পারে তা বলা আছে।

    গত শনিবার (১০ মে) রাতে আইনটি কার্যকর করা হয়েছে। এখন আমরা ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেব যে কোনও রাজনৈতিক দলের তদন্ত করা হবে কিনা? তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না?

    এই বিষয়ে প্রধান প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আমাদের তদন্ত সংস্থার কাছে যদি মনে হয় যে এই দলটি মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত এবং তাদের তদন্ত করা প্রয়োজন, তাহলে আইন অনুসারে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’

    সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। গত শনিবার জারি করা গেজেটে বলা হয়েছে যে, এই আইন বা অন্যান্য প্রযোজ্য আইনে যা কিছু আছে তা সত্ত্বেও, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে মনে হয় যে কোনও সংস্থা এই আইনের ধারা 3, উপ-ধারা (2) এর অধীনে কোনও অপরাধ করেছে, আদেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, সহায়তা করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহযোগিতা করেছে বা অন্য কোনওভাবে সহায়তা করেছে, তাহলে ট্রাইব্যুনালের সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার, এর নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করার এবং এর সম্পত্তি জব্দ করার ক্ষমতা থাকবে।

    এছাড়াও, গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে যে সংশোধিত আইনে ‘সংগঠন’ শব্দটির অর্থ হবে যেকোনো রাজনৈতিক দল, দলের অধীনস্থ, সম্পর্কিত বা সংশ্লিষ্ট যেকোনো সংগঠন বা গোষ্ঠী।