রাশিয়াকে কোনওভাবেই পরাজিত করা যাবে না: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়াকে কোনওভাবেই পরাজিত করা যাবে না। তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।
এদিকে, ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠক ঘিরে ধোঁয়াশা রয়েছে। আলোচনার আগে কিয়েভ মস্কোর প্রস্তাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় ইউরোপীয় দেশ শুরু থেকেই সামরিক আর্থিক সহায়তা দিয়ে কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধে মস্কোকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশগুলি প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
তবে, এবার, ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ জার্মানি যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে না, বরং এটিকে সম্মান করছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহানেস ভাউডেপোল বলেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান কেবল কূটনীতির মাধ্যমেই সম্ভব। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে যুদ্ধের শুরু থেকেই স্পষ্ট ছিল যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়াকে পরাজিত করা অসম্ভব।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণ বাড়ছে। কিয়েভ উত্তর সুমি অঞ্চলের ১১টি গ্রামের কমপক্ষে ২০০ জন বসতি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।

শনিবার (৩১ মে) রাশিয়ান বাহিনী এই অঞ্চলের আরও দুটি গ্রাম দখল করেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে সীমান্তে ৫০,০০০ এরও বেশি রাশিয়ান সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, যা একটি বড় স্থল অভিযান শুরুর ইঙ্গিত দেয়। চলমান পরিস্থিতির মধ্যে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে রাশিয়া দোনেৎস্কের নোভোপিল এবং সুমির ভোডোলাহি গ্রাম দখল করেছে।

এদিকে, যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেন শান্তি আলোচনার টেবিলে ফিরে আসছে। ইস্তাম্বুলে নতুন দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন যে আলোচনায় কৃষ্ণ সাগরে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং নিরাপদ নৌচলাচলের শর্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানও বৈঠকে অংশ নিতে পারেন।

আলোচনার ঠিক আগে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন। মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এবং ব্লুমেন্থালের নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা বিলকে তিনি সমর্থন করেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন যে তিনি এখনও এটি সম্পর্কে অবগত নন। বিলটি পাস হলে, রাশিয়ান জ্বালানি পণ্য আমদানিকারী দেশগুলির উপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।