হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, মধ্যরাতে দশ লক্ষ ইসরায়েলি আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে গেল!
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার (২২ মে) ইসরায়েলে দুটি ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপ করেছে। তবে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে তারা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
হামলায় সরাসরি আহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে, জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে যে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে একজন আহত হয়েছেন।
টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে যে বুধবার ভোর ৩টার দিকে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ফলস্বরূপ, তেল আবিব সহ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে, যার ফলে প্রায় দশ লক্ষ বাসিন্দা তাদের জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যেতে বাধ্য হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, সাইরেন বাজানোর প্রায় চার মিনিট আগে বাসিন্দাদের আগাম সতর্কতা পাঠানো হয়েছিল। তাদের ফোনে পুশ নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে যে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি (প্রথমটি) প্রতিহত করেছে।
তবে, বৃহস্পতিবার দুপুরের কিছুক্ষণ আগে, হুথিরা ইসরায়েলে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে যে তারা এটিও প্রতিহত করেছে। দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছিল, যার ফলে জেরুজালেম এবং দক্ষিণ পশ্চিম তীরের জনবহুল এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে।
হুথি গোষ্ঠী প্রথম হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে যে তারা বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
