পাকিস্তান ভারতকে পানি বন্ধ করার সাহস না করার জন্য সতর্ক করেছে
দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী সতর্ক করে বলেছেন যে, পাকিস্তানের পানি বন্ধ করার চেষ্টা করলে ভারতকে দীর্ঘমেয়াদী পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
গণমাধ্যমের সাথে এক সাক্ষাৎকারে আইএসপিআর প্রধান বলেন, “আমি আশা করি সেই সময় আসবে না। কিন্তু যদি সত্যিই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে বিশ্ব দেখবে এবং আমরা বছরের পর বছর ধরে এর পরিণতির জন্য লড়াই করব। পাকিস্তানের পানি বন্ধ করার সাহস কারোরই করা উচিত নয়।”
২৪ কোটিরও বেশি মানুষের পানি কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলে সতর্ক করে দিয়ে আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী যারা তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলে এবং রাজনৈতিক সরকারের নির্দেশাবলী এবং প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান সম্পর্কে আইএসপিআর প্রধান বলেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে আস্থা তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে, যুদ্ধবিরতির সময়কাল সম্পর্কে তিনি সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী আরটি আরবি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা অহংকারী জাতি নই, আমরা একটি ‘গুরুতর’ জাতি। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো শান্তি।”
তিনি আরও বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি বৃহৎ ও বিচক্ষণ দেশ পাকিস্তানের জনগণের অনুভূতি কী তা ভালোভাবে বোঝে।”
ভারতের সাথে যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী কূটনীতিকদের “অসাধারণ কাজের” প্রশংসা করেন। “তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে এবং ব্যতিক্রমীভাবে সম্পৃক্ত করেছে।”
গত মাসে, ভারত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে একটি হল ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি। পরবর্তীতে, দুই দেশের পারস্পরিক পদক্ষেপের মধ্যে, ভারত পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপ শুরু করে। তারপর, যখন পাকিস্তান প্রতিশোধ নেয়, তখন দুই পারমাণবিক শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তান সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
চার দিনের একটানা সংঘর্ষের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়।