• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    কর্মসংস্থান অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ

    সোমবার (২ জুন) সকাল ১১টা নাগাদ সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে থেকে কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।

    এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের কোনও স্থান নেই’, ‘এটি স্থাপন করা হয়েছে, রক্তে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে’, ‘এটি জেগে উঠেছে, সচিবালয় জেগে উঠেছে’, ‘আমি এটি গ্রহণ করব না, আমি এটি গ্রহণ করব না, এটি একটি ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘আমি এটি গ্রহণ করব না, এটি একটি অবৈধ কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রকারীরা, সাবধান’, ‘১৮ লক্ষ কর্মচারী, ঐক্যবদ্ধ হও এবং লড়াই করো’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

    জানা গেছে যে কর্মচারীরা আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেবেন।

    এর আগে, রবিবার (১ জুন) তারা খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান; এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। প্রসঙ্গত, ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়, যেখানে বিধান করা হয় যে চার ধরণের শাস্তিমূলক অপরাধের ক্ষেত্রে বিভাগীয় মামলা দায়ের না করে কেবল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বরখাস্ত করা যেতে পারে। এর আগে, ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদিত হওয়ার পর, ২৪ মে থেকে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠন আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ করে আসছে। তারা এই অধ্যাদেশকে পশ্চাদমুখী ও কালো আইন বলে অভিহিত করছে।