• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    ময়মনসিংহে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ৮ শনাক্ত হয়েছে

    ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তারা সবাই মাহিন্দ্রার যাত্রী ছিলেন। নিহতদের সবাইকে শনাক্ত করেছে ফুলপুর থানা পুলিশ।

    নিহতরা হলেন- লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার নিজগুড্ডিমারী গ্রামের কাজিম উদ্দিন (২৮), হালুয়াঘাট উপজেলার জয়রামকুড়া গ্রামের রুবেল (৩০), ফুলপুরের কাজিয়াকান্দা গ্রামের ফরিদ মিয়া (৩৮), নিগুয়াকান্দা গ্রামের জহের আলী (৭০), বালুকান্দা গ্রামের হাসিনা খাতুন (৫), শহিদুল ইসলাম (৫)। কেয়ারহাটি গ্রামের কালিয়ানীকান্দি গ্রামের নয়ন মিয়া (৪০) ও পূর্বধলা উপজেলার ইসবপুর গ্রামের লাল মিয়া (৩৬)।

    স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৮:৩০ টার দিকে ফুলপুর উপজেলার কাজিয়াকান্দা ইন্দিরাপাড় এলাকায় একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। মাহিন্দ্রাটি ফুলপুর থেকে হালুয়াঘাট যাচ্ছিল।

    ইন্দিরাপাড় এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বালির লরিকে ওভারটেক করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী শ্যামলী বাংলা বাসটি মাহিন্দ্রাটিকে ধাক্কা দেয়, যা রাস্তার পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়, যার ফলে মাহিন্দ্রাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই এক মহিলাসহ পাঁচজন নিহত হন। আহত আরও ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

    ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর হাদী জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যেহেতু পরিবারের কোনও অভিযোগ নেই, তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের তারাকান্দা উপজেলার কোদালধর এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হন। নিহতরা হলেন ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের বড়টিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের স্ত্রী জোবেদা খাতুন (৮৫), ফুলপুর উপজেলার বৌলা ইউনিয়নের মাদিপুর সুতারপাড় গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রকিবুল হাসান (১৫) ও অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ আলম (৩৫) মুগড়িয়া গ্রামের মৃত. ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মো.