• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলবে

    পদমর্যাদা পরিবর্তন ও বেতন গ্রেডে পদোন্নতির দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘট করছেন মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা। কিন্তু তাদের দাবি পূরণে উদ্যোগ না নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য নেতাদের চাপ দিচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার ঢাকা ডিসি কার্যালয়ের ঢাকা কালেক্টরেট রিক্রিয়েশন ক্লাবে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ৬৪ জেলার মাঠ প্রশাসনের কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। অনুষ্ঠানটি তদারকির জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি অফিসের কর্মচারীদের দায়িত্ব দিয়ে একটি মনিটরিং কমিটিও গঠন করা হয়।

    বৈঠকে উপস্থিত অন্তত ২০ কর্মচারী বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপ দেন মাঠ প্রশাসনের ৬৪ জেলার কর্মচারীরা। তারা বলছেন, আন্দোলনে দেরি হলে শ্রমিকরা আবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

    বাংলাদেশ কালেক্টরেট অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বাকাসাস) মহাসচিব মো. আনোয়ার হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানান। কিন্তু মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা ধর্মঘট শেষ করতে রাজি হননি। পরে বাংলাদেশ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারী সমিতির (বিবিসিসিএস) মহাসচিব কাজী মনিরুজ্জামান মার্চের ধর্মঘট স্থগিত করার প্রস্তাব করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। এবং ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবস। সেক্ষেত্রে শুধু মার্চ মাসের জাতীয় দিবসে ধর্মঘট স্থগিত থাকবে।

    অন্যান্য বিভাগে প্রায় ৩০ ধরনের কর্মচারীর পদমর্যাদা ও গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হলেও মাঠ প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। ৩১শে জানুয়ারী ভূমি অফিসের কর্মচারীদের পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ভূমি মন্ত্রণালয় ১৬ ও ১৭ থেকে ১১ ও দ্বাদশ গ্রেডে বেতন বৃদ্ধির আদেশ জারি করে। ফলে গত মঙ্গলবার থেকে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনও ও এসিল্যান্ডের দফতরে কর্মরত হাজার হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ধর্মঘটে গেছেন।

    মন্তব্য করুন